মহম্মাদপুর : “বাংলাদেশ বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ” মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা শাখার আযোজনে মঙ্গলবার সকালে গ্রেড-পদোন্নতিসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬৫ জন কর্মচারীর অংশ গ্রহনে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
চাকুরিতে যোগদানের তারিখ থেকে অবসর পর্যন্ত ৩০ থেকে ৪০ বছরেও কোনো গ্রেড পরিবর্তন-পদোন্নতি পাননা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩য় শ্রেণির কর্মচারীরা। চাকুরিবিধি অনুসরণ না করার কারণে তাদের কর্মঘন্টা বা ওভারটাইম নেই। জাতি গঠনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে আসা এসব কর্মচারীরা অবহেলিত দাবি করে মানববন্ধনে বক্তারা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো- ৩য় শ্রেণি কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুপাতে ৩য় শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা বা অফিস সুপার প্রদান করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটারসহ অন্যান্য বিষয়ে উ”চতর ট্রেনিং এর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত চাকুরীবিধি ২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থ্য করতে হবে এবং সকল এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
এ সময় বাংলাদেশ বেসকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদের মহম্মদপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. সেলিম রেজা, সদস্য সচিব মো: মুরাদ হোসেনসহ তরুণ কুমার গুহ পিকিং প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা আরো বলেন, চরম বৈষম্যের মধ্যে আমাদের দিন কাটাতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনকের কন্যা জাতি গঠনে যুগোপযুগি শিক্ষানীতি উপহার দিয়েছেন। এই শিক্ষানীতির আলোকে আমাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্খিত চাকুরী বিধিমালা ২০১২ জারি করা হয়। প্রণিত বিধিমালা অনুযায়ী গভর্নিং বডি বা পরিচালনা পরিষদে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার বিষয়টি অদ্যবধি কার্যকর করা হয়নি। আলোচনার মাধ্যমে দাবীসমূহ অনতিবিলম্বে মেনে নেয়ার আহবান জানাই। অন্যথায় দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ প্রায় ৫০ হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপন কোন ভাবেই সম্ভব নয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
